তুরাগ প্রতিনিধিঃ ২৪ এর স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামিলীগের অনেকেই বিএনপির নামে নানা ভাবে দখল , চাদাবাজি ও লুটতরাজ করে দলের ইমেজ নষ্ট করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে পরে। তাদেরকে বিএনপির অনেকেই শেল্টার দিয়ে লাভবান হয়। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে তারাই আবার প্রকাশ্যে সন্ত্রাস , চাদাবাজি ও লুটতরাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায়।
তুরাগের বাউনিয়ায় গত ৫ অক্টোবর বিএনপির ঢাকা মহানগরের নেতা মোস্তফা জামান ও তুরাগ থানা বিএনপির নেতা আফাজ উদ্দিন আফাজের ডাকে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিধি হিসেবে মঞ্চে নেতা বিএনপির ঢাকা মহানগরের নেতা মোস্তফা জামান ও তুরাগ থানা বিএনপির নেতা আফাজ উদ্দিন আফাজ, সালাউদ্দিন আহমেদ খোকা, হাজী জহির, আজাহারুল ইসলাম আজাসহ কয়েকজন পদধারি বিএনপি নেতা উপস্থিত থাকলেও সভা মঞ্চে অন্য যারা ছিলেন তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে প্রমান পাওয়া গেছে। এর বাইরে সভাটিতে উপস্থিত প্রায় দুই/তিনশত লোকের মধ্যে ৫০/৬০ শতংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠিত এ সভাটি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করছেন এবং বিভিন্ন ভাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। তুরাগ বিএনপির অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় সেখানে উপস্থিতির ৫০ ভাগই আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন দুই মাস আগেও। তারা এখন ভোল পাল্টিয়ে বিএনপির মিটিংয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের বিএনপির রাজনীতিতে আশ্রয় দিচ্ছেন হাজী মোস্তফা ও আফাজ এমন অভিযোগ ও করেছেন কেউ কেউ।
সেখানে উপস্থিতির মধ্য অন্যতম হচ্ছে, আশরাফ খান বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের তুরাগ থানার সাধারণ সম্পাদক, সোহেল রানা আওয়ামী যুবলীগ, সানাউল্লাহ আওয়ামী যুবলীগ, ইসহাক খুনি হাবিব হাসানের বোনের জামাই, ইসলাম উদ্দিন কৃষক লীগ তুরাগ থানার ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাশালী নেতা সেলিম মাদবর, স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতা হাজী আব্দুল্লাহ ও আশরাফ খান। তারা সবাই হাবিব হাসানের আত্মীয় এবং শুভাকাংঙ্খি। এর বাইরে ছিলেন বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া আবু তাহের আবুল খানসহ অনেকেই। প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশী লোক ছিলেন খুনি হাবিব হাসানের নিকট আত্মীয় স্বজনরাই।