স্টাফ রিপোর্টারঃ শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার মধ্য দিয়ে ১৬ বছরের আওয়ামী জাহেলিয়াতের অধ্যায়ের শেষ হয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু হাসিনার রেখে যাওয়া আওয়ামিলিগ ও তাদের দোসরেরা এখনো দেশটাকে খুবলে খাচ্ছে। তাদের ই একজন উত্তরা ৬ নাম্বার সেক্টরের আওয়ামিলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন। ৬ নাম্বার সেক্টরের বাসিন্দা এই আনোয়ার পুরো আওয়ামি শাষন আমলে নিজ বাড়ীকে ব্যবহার করে অভিনব এক প্রতারনার ফাদ পেতে অসংখ্য মানুষকে করেছে নিঃস্ব।
আনোয়ার হোসেন তার ৬ নাম্বার সেক্টরের নিজ বাড়ী মোটা অংকের এডভ্যান্স নিয়ে ভাড়া দিতো হোটেল/ বার/ এমনকি পতিতাবৃত্তির জন্যও। ২/৩ মাস যেতে না যেতেই ভাড়াটিয়াদের দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে থানা পুলিশ ও র্যাব কে ব্যবহার করে তাড়িয়ে দিত এডভ্যান্সের টাকা ফেরত না দিয়েই। এমন অন্তত ২০/২২ জন ভাড়াটিয়া তার প্রতারনায় আজ পথে বসেছে।
আনোয়ার হোসেন ব্যাক্তি চরিত্রে খুব বাজে একজন মানুষ, মুখে দাড়ি ও সুন্নতি লেবাসের আড়ালে সে দুশ্চরিত একজন মানুষ। একে একে বিয়ে করেছেন ৪ টি, এর বাইরেও আরো একাধিক নারির সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নারীদের তুলে নিয়ে এসে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ও রয়েছে আনোয়ারের বিরুদ্ধে। আওয়ামীলীগের আমলে দলীয় নেতাদের বশ করে সে দেদারসে চালাতো তারন এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড। ঢাকা ১৮ আসনের সবষেশ অবৈধ এমপি খসরু চৌধুরীর এলাকায় তার বাড়ী হবার ফলে সে পেত এমপির কাছে আলাদা প্রশ্রয়। তাছাড়া আনোয়ারের ৬ নাম্বার সেক্টরস্থ বাড়িতে সে আগের এমপি হাবিব হাসান ও পরে খসরু চৌধুরীর অফিস স্থাপন করেছিলো নিজ প্রতারনা ও অবৈধ কাজগুলোকে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে।
জুলাই ২৪ এ ছাত্র জনতার আন্দোলন দমাতে আওয়ামীলিগ যখন মড়িয়া তখন এই আনোয়ার তার বাড়ীতে আশ্রয় দিয়েছিলো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের। অভিযোগ রয়েছে তার বাসার ছাদ থেকে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে ছাত্রদের উপরে হামলাও হয়েছে। এত অভিযোগের পরেও ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পরেও সে এখনো প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ায়। আওয়ামী প্রশাসনে থেকে যাওয়া আনোয়ারের বন্ধুরা তাকে এখনো গ্রেফতার করেনি। ৫ ই আগস্টের পরে সে সময়ের ভারাটিয়া কে আনোয়ার বিনা নোটিশে বের করে দেয়, এবং তার কাছে পাওনা প্রায় কোটি টাকা দিতে অস্বীকার করলে সেই ভাড়াটিয়া এলাকাবাসীকে জানালে ছাত্র সহ জনতা সেখানে গেলে আনোয়ার তার খয়ের খা র্যাব কে ফোন করে এনে এক ধরনের মব সৃষ্টি করে এবং সেখানে বিএনপির নামধারী নেতা পলাশ এসে বিচারের নামে প্রহসন করে নিরীহ কিছু মানুষকে মীমাংসার নামে ফাসিয়ে দেয়। যার ফলে এখনো পর্যন্ত উক্ত ভাড়াটিয়া তার পাওনা টাকা ফেরত পায়নি। উত্তরা পূর্ব থানা ছিলো জুলাই আন্দোলনের সূতিকাগার। ছাত্র জনতার দাবী এই আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার কে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। অন্যথায় ছাত্র জনতা প্রয়োজনে আবার মাঠে নামবে।